আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টিগ্রের রাজধানী শহর আবার দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী টিগ্রে পিপলস লিবরেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)। এরপর ইথিওপিয়ার সেনা একতরফা যুদ্ধ বিরতির কথা ঘোষণা করেছে। টিপিএলএফ জানিয়েছে, তারা নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি। তবে শর্ত হলো, টিগ্রে থেকে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। আর ভবিষ্যতে নতুন করে সেনা অভিযান করা যাবে না।
টিপিএলএফ জানিয়েছে, তাদের গ্যারান্টি দিতে হবে যে, ভবিষ্যতে দ্বিতীয় সেনা অভিযান হবে না। সেই সঙ্গে টিগ্রেতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে পুরো ক্ষমতা দিতে হবে, যাতে তারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।
২০১৮ পর্যন্ত টিপিএলএফ শুধু যে টিগ্রে শাসন করত তাই নয়, ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও তাদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে নতুন সরকার আসার পর পুরো ছবিটা বদলে যায়।
গত বছর ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার সেনার সঙ্গে টিপিএলএফের লড়াই শুরু হয়। সরকারের অভিযোগ ছিল, টিপিএলএফ সেনা ঘাঁটি আক্রমণ করেছে। তারপর থেকে সেনা ও টিপিএলএফের মধ্যে সমানে সংঘর্ষ চলছে। গত সোমবার টিগ্রের রাজধানীর দখল নেয় টিপএলএফ। এরপরই সরকার যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছিল।
টিগ্রের সংঘাতে ১৭ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বিরোধীদের দাবি, লড়াই শুরুর পর ৫২ হাজার মানুষ মারা গেছেন। গত শুক্রবার জাতিসংঘ জানয়েছিল, টিগ্রের চার লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে।
নিউজ/এমএম