আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শত শত নারী সিরিয়ার আল-হল বন্দিশিবিরে আটক রয়েছেন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তারা সেখানে আটক থাকেন। এদের অনেকেই অনলাইনে যোগাযোগ হওয়া বিদেশি পুরুষদের বিয়ে করছেন। নতুন স্বামীদের পাঠানো অর্থের বিনিময়ে বন্দি শিবির থেকে ইতোমধ্যে পালিয়েছেন কয়েকশ নারী।
শুক্রবার (২রা জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হল শিবিরের ভেতরে ও বাইরে থাকা ৫০ জন নারী, এক কুর্দি কর্মকর্তা ও আইএসের সাবেক এক সদস্য জানিয়েছেন, মুক্তির জন্য বন্দিশিবিরের বাসিন্দারা চক্রটির কাছে সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন।
বন্দিশিবিরে থাকা এক রুশ নারী বলেন, ‘প্রতিদিন আমি এক পুরুষ আমার কাছে বার্তা পাঠায়, আমি বিয়ে করতে চাই কিনা। আমার আশেপাশের সবার বিয়ে হয়ে গেছে...অবশ্য যারা এখনও আইএসের সমর্থক এবং সচ্চরিত্রের দাবি করেন, তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারেন।’
২০১৯ সালে তথাকথিত খেলাফতের পতনের সময় সিরিয়ায় আইএসের শেষ ঘাঁটিতে প্রায় ৬০ হাজার নারী ও শিশু ছিল। এখন এসব নারী ও শিশু যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের বন্দিশিবিরে রয়েছে। তাদের এই বন্দিদশায় ক্ষুব্ধ বিশ্বজুড়ে আইএস সমর্থকরা। অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে বন্দি নারীদের বিয়ে করে তথাকথিত জিহাদিদের শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপায় বলে মনে করছেন। এই সম্ভাব্য স্বামীদের অধিকাংশই মুসলিম দেশের হলেও তারা ইউরোপে বাস করেন এবং তাদের বেশ ভালো সম্পদ রয়েছে।
বন্দিশিবিরের নারীরা এই বিয়ের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ আয় নিশ্চিত করতে চাইছে এবং জীবনকে কিছু স্বাচ্ছ্যন্দময় করতে চায়। বিদেশি স্বামীদের পাঠানো অর্থ এসব নারী খাদ্য, ওষুধ, ফোনের বিল ও গৃহকর্মীদের জন্য ব্যয় করছে।
সাননিউজ/এএসএম