আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত বায়োটেক উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন প্রায় ৭৮ শতাংশ কার্যকর। তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে শনিবার (৩ জুলাই) এমনই দাবি করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।
সংস্থাটির দাবি, উপসর্গযুক্ত কোভিডের ক্ষেত্রে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ কার্যকর। উপসর্গহীন কোভিডের ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে তারা উল্লেখ করেছে, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারির মধ্যে ২৫ হাজার ৭৯৮ জন স্বেচ্ছাসেবককে নির্বাচিত করা হয় ট্রয়ালের জন্য। এরপর তাদের মধ্যে ২৪ হাজার ৪১৯ জনকে টিকার দুইটি ডোজ দেয়া হয়। দুই সপ্তাহ পর ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক সিমটোমেটিক বা উপসর্গযুক্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে দেখা যায়। যাদের মধ্যে ২৪ জন ভ্য়াকসিন গ্রুপের এবং ১০৬ জন প্লাসিবো গ্রহীতা। ফলে এক্ষেত্রে কার্যকারিতার মান পাওয়া গিয়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
টিকা কতটা নিরাপদ তারও একটা তথ্য তুলে ধরেছে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, এই টিকা ব্যবহারের পর সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ১২ শতাংশ। ০.৫ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ভারত বায়োটেকের দাবি, টিকা নেয়ার পর গ্রহীতাদের মধ্যে সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো অন্যান্য কোভিড টিকার তুলনায় খুবই সামান্য। বিশ্বের ১৬টি দেশে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেক। তার মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইরান, ফিলিপাইনের মতো দেশ।
ভারতের ২৫টি হাসপাতালে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়েছে। এই ট্রায়ালে সাহায্য করেছে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের তালিকায় কোভ্যাক্সিনকে অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভারতে যে দু’টি টিকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- সেরাম ইনস্টিটিউট এবং অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড এবং হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।