সাননিউজ ডেস্ক: একটি মাত্র আম গাছ। আম গাছটি অন্য সাধারণ দশটা গাছের মতো নয়। কারণ এই গাছটি ১২১ জাতের ফল ধরেছে! উত্তর প্রদেশের শাহারানপুর জেলায় ১৫ বছর পুরনো আম গাছটি মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এমনিতেই জেলাটি আমের জন্য বিখ্যাত।
এই গাছটি এতে নতুন পলক যুক্ত করেছে।
জেলার কোম্পানি বাগ এলাকায় এই অনন্য গাছটি অবস্থিত। পাঁচ বছর আগে হর্টিকালচারিস্টদের নতুন আমের জাত ও স্বাদ নিয়ে পরীক্ষার ফলাফল এই গাছটি।
শাহারানপুরের হর্টিকালচার ও ট্রেনিং সেন্টারের যুগ্ম পরিচালক ভানু প্রকাশ রাম জানান, এই পরীক্ষাটি কোম্পানি বাগে পাঁচ বছর আগে করা হয়।
তিনি বলেন, এই পরীক্ষার লক্ষ্য ছিল আমের বিভিন্ন নতুন জাত নিয়ে গবেষণা। আম উৎপাদনে শাহারানপুর ইতোমধ্যে শীর্ষস্থানগুলোর একটি। আমরা নতুন জাতের আম উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি যাতে করে ভালো মানের আম পাওয়া যায়। মানুষও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
তিনি জানান, ৫ বছর আগে হর্টিকালচার ও ট্রেনিং সেন্ট্রারের যুগ্ম পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকা রাজেশ প্রসাদ একটি গাছে ১২১ জাতের আম গাছের ডাল কলমযুক্ত করেন।
গাছটিতে যেসব জাতের আম ধরেছে সেগুলোর মধ্যে আছে, দুশেরি, ল্যাংড়া, চৌনসা, রামকেলা, আম্রপালি, শাহারানপুর অরুণ, শাহারানপুর বরুণ, শাহারানপুর সৌরভ, শাহারানপুর গৌরব ও শাহারানপুর রাজিব।
এছাড়া রয়েছে লখনৌ সাফেদা, টমি অ্যাট কিংস, পুসা সূর্য, সেনসেশন, রাতৌল, কলমি মালদাহ, বোম্বে, স্মিথ, ম্যাঙ্গিফেরা জ্যালোনিয়া, গোলা ভুলন্দশর, লারাঙ্কু, এলআর স্পেশাল, আলমপুর বেনিশা ও আসোজিয়া দেওবন্দ।
অবশ্য উত্তর প্রদেশের মালিহাবাদের হাজি কলিমুল্লাহ খান নামের ব্যক্তি একটি গাছে ৩০০ জাতের আমের উৎপাদন করেছিলেন। ভারতের ম্যাংগোম্যান বলে খ্যাত কলিমুল্লাহ খান ২০০৮ সালে ভারত সরকারের পদ্ম শ্রী খেতাব পেয়েছেন। সূত্র: এএনআই
সাননিউজ/এএসএম