সান নিউজ ডেস্ক : গত এক বছর ধরে দাড়িসমেত এলোমেলো চুলের জাস্টিন ট্রুডো যেন হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলেন। কানাডা ডে (১ জুলাই) উপলক্ষে কানাডিয়ানদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা সম্বলিত যে ভিডিও বার্তাটি সরকারিভাবে প্রচার করা হয়েছে, সেখানে একেবারে পরিপাটি এক জাস্টিন ট্রুডোকে দেখে প্রথমটায় মনে হয়েছে পুরনো কোনো ভিডিও ভুল করে ছেড়ে দিলো না তো!
প্রধানমন্ত্রী কেন শেভড হয়ে, চুল আচড়িয়ে পরিপাটি হয়েছেন- এটা কোনো খবর না। খবর হচ্ছে- করোনার কারণে গত দেড় বছর ধরে হেয়ার সেলুনগুলো বন্ধ ছিল। ফলে প্রধানমন্ত্রীর শেভড হওয়া বা চুল কাটানো বন্ধ ছিল।
তিনি কি নিজে বাড়িতে সেটি করতে পারতেন না?
পারতেন, নিশ্চয়ই পারতেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে, জনপ্রতিনিধিদের অনেক কিছুই বিবেচনায় রাখতে হয়। হেয়ার সেলুন হচ্ছে ক্ষুদ্র শিল্প। জনপ্রতিনিধিরা নিজে নিজে চুল কেটেছেন, শেভড হয়েছেন- এই বার্তা হেয়ার ড্রেসিংয়ের মতো ক্ষুদ্র একটি শিল্পের জন্য নেতবিাচক বার্তা দেয়। সে কারণে ট্রুডোসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধির কেউই এই সময়টায় নিজে নিজে চুল কাটেননি। সেলুন খোলার জন্য অপেক্ষায় থেকেছেন।
যেমন, কোভিডের কারণে রেস্টুরেন্টগুলোতে কেবল টেক আউট অনুমোদিত ছিল। অনেক রাজনীতিবিদই রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে নাগরিকদেরও উৎসাহ দিয়েছেন- নিজ নিজ এলাকার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিতে, যাতে রেস্টুরেন্টগুলো টিকে থাকতে পারে।
যাক, ট্রুডোর চুল কাটা নিয়ে বলছিলাম। ৩০ জুন থেকে অন্টারিও প্রভিন্সের সেলুনগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।আর সেই সুযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রথম দিনেই চুল কাটিয়ে, শেভড হয়ে পরিপাটি হয়ে গেছেন। কানাডা ডে'র শুভেচ্ছা জানাতে জাতির সামনে হাজির হয়েছেন সম্পূর্ণ নতুনভাবে।
ট্রুডোর নতুন এই অবয়ব থেকে মনে হয়, কোভিডের বিরুদ্ধে কানাডা জয়ী হতে চলেছে- এই বিশ্বাসটা তার মধ্যে ফিরে এসেছে।
সান নিউজ/এসএম