নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ধারাবাহিকভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিক উদারতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেফ বরেল এবং সংস্থাটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার জানেস লেনারসিস এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।
২ মে শনিবার ইইউ ঢাকা কার্যালয় থেকে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর উচিত মানবিক ইস্যুতে বাংলাদেশকে অনুসরণ করা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেফ বরেল এবং সংস্থাটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার জানেস লেনারসিস এ বিবৃতিতে বলেন, নারী ও শিশুসহ কয়েকশ’ মিয়ানমারের নাগরিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি দল সপ্তাহখানেক ধরে বাজে অবস্থায় সমুদ্রে ভাসছে, যাদেরকে বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের উপকূল থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলের সরকারগুলোর কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আবেদন জানাচ্ছে যে বিপদগ্রস্ত এই মানুষগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার একটি সমাধান বের করুন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগে ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ এমন ৪০০ রোহিঙ্গার একটি দলকে নিরাপদে অবতরণ এবং আশ্রয় দিয়ে মানবিক উদারতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে যে উদারতার পরিচয় দিচ্ছে তা এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর অনুসরণ করা উচিত।
বার্তায় আরো বলা হয়, মিয়ানমারের সকল সহিংস দলের প্রতি বিনা শর্তে অস্ত্রবিরতির আহবান জানিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে আহবান জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যাতে রোহিঙ্গা সংকটের মূল সমাধান হয়।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা করে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, প্রয়োজনে এই অঞ্চলের অন্য রোহিঙ্গাদেরও সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের ভিটায় ফিরতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নির্যাতনের মূল উৎপাটনে এবং ন্যায্য বিচার নিশ্চিতেও কাজ করে যাবে সংস্থাটি।
সান নিউজ/সালি