আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বুধবার ভোরে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরাকের আল-আনবার প্রদেশের মার্কিন বিমান ঘাঁটি আইন আল-আসাদের রাডার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে ইরান। এমনটাই জানিয়েছে একটি ইরাকি সূত্র।
ওই সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম আইআরআইবির সংবাদদাতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইআরআইবির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের কাছে বিশ্বের সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার দাবি করলেও গতকালের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
এ ছাড়া, ওই হামলায় মার্কিন ঘাঁটিটিতে অবস্থিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরাইলের একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ইরাক থেকে ২২৪ আহত মার্কিন সেনাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তেল আবিবে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব সেনা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত।
এদিকে ইরাকের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পরই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে আবারো রকেট হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাতে দুটি কাতিউশা রকেট গ্রিন জোনের অভ্যন্তরে আছড়ে পড়ে। তবে হামলায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কারা এই হামলা চালিয়েছে তাও এখনো জানা যায়নি। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
ঘটনার ৩ দিনের মধ্যে দ্রুত কুয়েত থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটিতে অবস্থান করা মার্কিন শিবির কমান্ডার। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কুয়েতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তিনি জানান, তিনি কুয়েতে মার্কিন সেনা শিবিরের প্রধান কমান্ডারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি পেয়েছেন।
বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘কুনা’র বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা কুনাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আরিফজান ক্যাম্প থেকে এ জাতীয় একটি চিঠি পাওয়া অপ্রত্যাশিত। আমরা আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
উল্লেখ্য, ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানির উপর মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাবে ইরান এ হামলা চালাচ্ছে।
জেনারেল সোলাইমানিকে গত শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলা চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সেনারা।
সান নিউজ/সালি