আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিবেদশী দেশ ভারতে গিয়ে লাপাত্তা স্ত্রী,খুঁজে খুঁজে হয়রান স্বামী এমন অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার বাসিন্দা বাসুদেব জালান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। সংসারে তাদের কোনো সন্তান নেই। এ সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য গত মার্চে স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে যান বছর চল্লিশের এই ব্যক্তি।
কিন্তু গত ১১ জুন হঠাৎ করেই শিলিগুড়ি থেকে নিখোঁজ হন তার স্ত্রী দীপ্তি দাশ। এরপর থেকেই ভারতের বিভিন্ন মঠ-মন্দিরে জনে জনে মোবাইলে ছবি দেখিয়ে স্ত্রীকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বাসুদেব।
শনিবার (২৬শে জুন) কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
বাসুদেব আনন্দবাজারকে বলেন, গত ১ মার্চ আমরা প্রথমে কেরালা যাই স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। সেখানে টানা কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে চলে যাই নবদ্বীপে। আমার স্ত্রী ভীষণ ঠাকুরভক্ত।
তিনি জানান, ওই দফায় তারা নবদ্বীপ ও মায়াপুরে ১০ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন। এরপর শিলিগুড়ির মিলনপল্লীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। কথা ছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করেই বাংলাদেশে ফিরবেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন বাসুদেব। এরপর প্রায় ২০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হয় তাকে।
বাসুদেব জানান, সুস্থ হওয়ার পর গত ১১ জুন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ তিনি এবং তার স্ত্রী শিলিগুড়ি গৌড়ীয় মঠে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই নিখোঁজ হন ৩৫ বছর বয়সী দীপ্তি দাশ।
বাসুদেবের কথায়, দর্শনের পর আমার স্ত্রী বলে সে আরও কিছুক্ষণ থাকবে, জপতপ করবে, আমি যেন বাইরে থেকে কিছু খেয়ে আসি। দু’জনেই না খেয়ে মন্দিরে গিয়েছিলাম। আধঘণ্টা পরে ফিরে দেখি ও সেখানে নেই।
তখন মন্দিরে উপস্থিত এক বয়স্ক নারী জানান, আমি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দীপ্তি মন্দির থেকে বেরিয়ে গেছে। পরের দিন শিলিগুড়ি থানায় স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন বাসুদেব জালান। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।
তিনি জানান, শিলিগুড়ি স্টেশনে কয়েকজন দীপ্তির ছবি দেখে জানিয়েছেন, তারা তাকে একা একা ডাউন কামরূপ এক্সপ্রেসে যেতে দেখেছেন। স্ত্রী ফের নবদ্বীপে যেতে পারেন অনুমান করে গত ১৫ জুন রাতে বাসুদেবও সেখানে যান।
তার দাবি, নবদ্বীপের হনুমান ও সমাজবাড়ির মতো কয়েকটি মন্দিরের লোকজন তার স্ত্রীর ছবি দেখে বলেছেন, তাকে দেখেছেন। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে সন্ধান দিতে পারেননি কেউ। শিলিগুড়ি থানায় করা নিখোঁজ ডায়েরির সূত্র ধরে নবদ্বীপ থানায় যোগাযোগ করেছেন বাসুদেব। স্থানীয় পুলিশ সন্ধানও শুরু করছে।
স্ত্রীর বিষয়ে বাসুদেব বলেন, আধ্যাত্মিক বিষয়ে ওর টান ক্রমেই বাড়ছিল। সারাদিন মোবাইলে পাঠ-কীর্তন শুনত। এ ধরনের পরিবেশে থাকতে ভালো লাগে, এমন কথাও বলেছে। কিন্তু তাই বলে এভাবে কোথায় গেল?
সাননিউজ/এএসএম