ইরানের হামলায় কোনো আমেরিকান আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। আমাদের কেউই হতাহত হয়নি। আমাদের সব সৈন্য নিরাপদে আছে এবং আমাদের সেনা ঘাঁটিতে খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’-দুটি মার্কিন বিমান ঘাটিতে ইরানের হামলার পর হোয়াইট হাউসে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন দাবি করেন। ট্রাম্প বলেন, মনে হচ্ছে ইরান খুব প্রস্তুতি নিয়ে আছে। তবে ওয়াশিংটন এখনই এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। তিনি বলেন, ইরানের হামলায় কোনো আমেরিকান আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। আমাদের কেউই হতাহত হয়নি। আমাদের সব সৈন্য নিরাপদে আছে এবং আমাদের সেনা ঘাঁটিতে খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ইরানের ওই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ারও কোনও হুমকি দেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমাদের সেনারা যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান থেমে গেছে; যেটা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও বিশ্বের জন্য ভালো।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা বাতিল করার মাধ্যমে সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে, তাহলে শান্তি স্থাপনেও আমি প্রস্তুত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই ইরানের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ইরানের আচরণ পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাসের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাসের তাদের প্রয়োজন নেই। তারা এখনই তেল-গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষে আছে।
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে বলেন, ইরান সম্ভবত গুটিয়ে গেছে। অবশ্য এটা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য ভালো এবং এটি বিশ্বের জন্য খুব ভালো কিছু। ট্রাম্প দাবি করেন, ২০১৩ সালে অকার্যকর পারমাণবিক চুক্তি সইয়ের পর ইরানের যুদ্ধবিগ্রহ মনোভাব বেড়েছিল। ২০১৫ সালে চুক্তি সই হয়েছিল।
গত শুক্রবার ইরাকের বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার জেরে বুধবার ভোররাতে ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়েছে ইরান। এতে অন্তত ৮০ জন মার্কিনী নিহত হয় বলে দাবি করেছে তেহরান।