আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নীলবাড়ির লডা়ইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল জয় পেতেই বিজেপি থেকে শাসক দলে আসার ঢল নেমেছে। কোথাও জনসমক্ষে প্রচার করে, কোথাও আজীবন তৃণমূলে থাকার শপথ নিয়ে, নানা পন্থায় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা।
তবে মঙ্গলবার (২২ জুন) হুগলি জেলার খানাকুলে কয়েকজন বিজেপি কর্মী যেভাবে স্বেচ্ছায় মাথা মুড়িয়ে (ন্যাড়া) তৃণমূলে এলেন, তা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব ঘটনাকে।
আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের উপস্থিতিতে খানাকুলের বলপাই গ্রামে বিভাস মালিকের নেতৃত্বে বিজেপির কয়েকজন কর্মী যোগ দিয়েছেন শাসক দলে। তৃণমূলে যাওয়ার পরেই তারা জানিয়েছেন, বিজেপিতে গিয়ে জীবনের সব থেকে বড় ভুল করেছিলেন। সে জন্য তাদের অনুশোচনা হচ্ছে। সেই ‘ভুল’ এর প্রায়শ্চিত্ত করতেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে মাথা মুড়িয়েছেন (ন্যাড়া) তারা।
এর আগে বীরভূম জেলার লাভপুরের বিপ্রুটিকুরি এলাকায় টোটোয় মাইক লাগিয়ে বিজেপি করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন কিছু মানুষ। ৩০ থেকে ৩৫ জনের ওই দলটি মিছিল করে এলাকা ঘুরে গণ ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন জনতার কাছে। তারা বলেছিলেন, ‘বিধানসভা ভোটের সময় রাজ্য সরকার ও পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করেছি। উত্তেজনার সৃষ্টি করেছি। মিথ্যা অপবাদ ও কুকীর্তির জন্য গ্রামবাসীদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। শপথ করছি, এমন কাজ ভবিষ্যতে কোনদিন করব না।’
একই ছবি দেখা গেছে, বোলপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শুঁড়িপাড়া এলাকায় এবং সাঁইথিয়ার বনগ্রাম এলাকায়। ওই জেলার নানুরের বাসাপাড়ায় প্রকাশ্যে শপথ বাক্য পাঠ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই এলাকার বিজেপি কর্মীরা। তারা বলেছিলেন, ‘বিজেপি করা ভুল হয়েছিল, আমৃত্যু তৃণমূলে থাকব।’
তবে এমন ঘটনা ভারতে আগে কখনো দেখা যায়নি।
সান নিউজ /এসএ