আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবানদের রুখতে অস্ত্র হাতে নিয়েছেন নারীরা। দেশটির উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমঞ্চলে তালেবানদের বিরুদ্ধে গণ-প্রতিরোধ বাহিনী গঠন হচ্ছে। এসব বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আফগান নারী অংশগ্রহণ করছেন।
জানা গেছে, আফগানিস্তানের বেশ কিছু জেলা দখল করে নেয়ার পর তালেবানের বিরুদ্ধে এ গণ-প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করা হয়।
আফগানিস্তানের তাখার প্রদেশের একটি বাড়িতে অস্ত্র হাতে তালেবান বিরোধী শপথ নেন স্থানীয় জনগণ
তবে তালেবান বুধবার (২৩ জুন) এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, যারা এ ধরনের বাহিনী গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন ‘তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তালেবানের বিবৃতির বক্তব্যের ধরন থেকে বোঝা যায় তারা ‘ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর এসব উদ্যোক্তাকে শাস্তি দেয়ার কথা বুঝেয়েছেন।
অবশ্য তালেবান এখন পর্যন্ত বেশ কিছু জেলা দখল করতে পারলেও এককভাবে কোনো প্রদেশ বা বড় কোনো শহর দখল করতে পারেনি।
আফগানিস্তানের জুযজান প্রদেশের বহু নারী নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থনে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে।
জুযজানের প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এসব নারী অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বার্তা দিতে চান যে, তারা তাদের শহরগুলোতে কোনো অবস্থায় তালেবানের অনুপ্রবেশ মেনে নিতে রাজি নন।
রাজধানী কাবুলের উত্তরে অবস্থিত কুহ্দামান শহরের শত শত মানুষ এক স্থানে সমবেত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র গ্রহণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি নিজেদের সমর্থন ঘোষণা করেছেন। ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকার সময় তালেবান কুহ্দামানে ব্যাপক গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি সেখানের বহু আঙ্গুরের বাগান জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সান নিউজ/এসএম