সান নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের প্রমোদতরীর কাপ্টেন জেনিফার ডোকার। তিনি পুরো গরমজুড়ে চেবোগান নদীতে পর্যটক নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। এ নদীর পানির নিচও যেন তার চেনা। নদীতে পাওয়া একটি বোতল তাকে অবাক করেছে। বোতলে ছিল ১৯২৬ সালে লেখা চিঠি।
বুধবার (২৩ জুন) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত শুক্রবার জেনিফার তার জাহাজের তলার দিকের জানালা পরিষ্কার করছিলেন। এমন সময় পানির নিচে পড়ে থাকা একটি বোতলে তার চোখে পড়ে। পুরোনো আমলের সবুজ রঙের বোতলটি তার নজর কাড়ে। প্রায় ১০ ফুট পানির নিচে বোতলটি পড়ে ছিল।
প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন সাধারণ এ বোতল। তিনি বোতলটি তুলে নিয়ে আসেন এবং বোতলের মধ্যে থাকা বার্তাটি দেখতে পান।
বোতলে ফাটল থাকায় দুই-তৃতীয়াংশ পানিতে ভর্তি ছিল। জেনিফার বোতলে মধ্যে থাকা কাগজটা বের করে লেখা পড়তে সক্ষম হন। ১৯২৬ সালের নভেম্বরে ওই চিঠি লেখা হয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, কেউ কাগজটি পেলে মিশিগানের চেবোগানের বাসিন্দা জর্জ মোরের কাছে ফেরত দিয়ে বলবেন, কোথায় এটা পাওয়া গেছে।
চেবোগান মিশিগানের একটা ছোট শহর। সেখানে বাস করে এমন কয়েকজন মোর পরিবারকে তিনি চেনেন। তাই তিনি তার কোম্পানির ফেসবুক পেজে বোতলের ছবি পোস্ট করেছিলেন।
জেনিফারের ওই পোস্ট অল্প সময়েই ভাইরাল হয়ে যায়। এক লাখেরও বেশিবার তা শেয়ার করা হয়। অন্তত ছয় হাজার জন ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন। অবশেষে জেনিফার ওই পোস্টের মাধ্যমেই খোঁজ পান জর্জ মোরের মেয়ে মিশেল প্রিমাউয়ের।
৭৫ বছর বয়সী মিশেল সিএনএনকে জানান, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। তবে সম্পূর্ণ অচেনা এক ব্যক্তি জেনিফারের পোস্ট দেখে চিঠির আসল মালিককে খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেন।
মিশেলের বাবা জর্জ নিজের জন্মদিনে ওই চিঠি লিখে মিশিগান থেকেই তা নদীতে ফেলে দেয়। মিশেল ওই চিঠির ছবি দেখেই বাবার হাতের লেখা চিনতে পেরেছেন। মিশেলের জন্মের প্রায় ২০ বছর আগে চিঠিটি লেখা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে জর্জ মারা গেছেন। এতোদিন পর বাবার লেখা দেখে ভীষণ আপ্লুত হয়ে যান মিশেল।
জেনিফার বোতল আর চিঠিটা তার জাহাজেই রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জেনিফারের জাহাজে গিয়ে চিঠিটা দেখে আসবেন মিশেল। মিশেলকে তার জাহাজে আজীবন বিনামূল্যে ভ্রমণের টিকেট দিয়েছেন জেনিফার।
সান নিউজ/এমআর