আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
সোমবার (২১ জুন) প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাইসি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে শত্রুদের বিচিত্র শত্রুতা, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অনুযোগ ইত্যাদি প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নির্বাচনে জনগণের ওই আন্তরিক উপস্থিতি ঐক্য ও সংহতির বার্তা বহন করছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, জনগণ সর্বোচ্চ নেতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে তাদের উপস্থিতির সাক্ষর রেখেছে। ত্রয়োদশ সরকারের উচিত দেশ ও জাতির দেয়া ওই বার্তা গভীর মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে শোনা। জনগণকে আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে বিশ্বস্ত থাকতে হবে।
সব শক্তি ও আন্তরিকতা দিয়ে জনগণের সেবা করা এবং তাদের সমস্যাগুলো দূর করার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করার ওপর জোর দেন ইরানের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ইরানের মাশহাদে ১৯৬০ সালে। রাইসির বাবা ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা। পাঁচ বছর বয়সে রাইসির বাবা মারা যান। এর পর ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের চার বছর আগে ১৫ বছর বয়সি রাইসি তার নিজের শহর মাশহাদ ছেড়ে কুমে যান।
১৯৮১ সালে রাইসি তেহরানের নিকটবর্তী ইরানের শহর কারাজের বিচার বিভাগে যোগ দেন। ১০ বছরেরও কম সময়ে তিনি বিচার বিভাগে উল্লেখযোগ্য পদোন্নতি পান। এরপর কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে একটি ট্রাইবুন্যালের সদস্য হন যাকে বিরোধীরা ‘ঘাতক কমিটি’ হিসেবে অভিহিত করে।
১৯৮৮ সালে এই কমিটি দুই থেকে চার হাজারের মতো রাজনৈতিক বন্দিকে ফাঁসির আদেশ দেয়। এদের মধ্যে মার্কসবাদী, বামপন্থি রাজনীতিবিদ এবং পিপলস মুজাহিদিন অরগানাইজেশন অব ইরানের (এমইকে) বহু সদস্য ছিলেন। এ সংগঠনকে ইরান ও ইরাক উভয়েই সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দেখে।
সান নিউজ/এফএআর