আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। পুলিশ ও লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্যদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছে। রোববার (২০ জুন) জম্মু-কাশ্মীরের সোপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কাশ্মীর জোন পুলিশ বলছে, নিহত তিনজনের মধ্যে লস্কর-ই-তাইয়েবার শীর্ষ নেতা মুদাসসির পণ্ডিতও আছে। উপত্যকায় বেশ কয়েকটি হামলার পেছনে তার ভূমিকা ছিল। ফলে আগে থেকেই পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল মুদাসসির।
পুলিশ বলছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত থেকে সোপুর অঞ্চলটি ঘিরে রাখা হয়। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল স্থানটিতে মুদাসসির পণ্ডিত ও তার তিন সহযোগী আশ্রয় নিয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। তারাও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশের গুলিতে মুদাসসির পণ্ডিতসহ তার দুই সহযোগী নিহত হয়।
এক টুইট বার্তায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানায়, স্থানীয় তিন পুলিশ কর্মকর্তা, দুই কাউন্সিলর ও দুই জন সাধারণ নাগরিক হত্যায় জড়িত ছিল মুদাসসির পণ্ডিত। গত ১২ জুন কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যকার সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিল দুজন পুলিশ ও দুজন সাধারণ মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় বরামুলার সোপুর এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল পুলিশ ও সিআরপির একটি যৌথ বাহিনী। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে একদল সন্ত্রাসী। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিংহ বলেছিলেন, নিহত দুই পুলিশ সদস্যের নাম ওয়াসিম আহমেদ ও শওকত আহমেদ। তারা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। এ হামলায় লস্কর-ই-তাইয়েবার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলবাগ।
বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। ফলে কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ অধিকার পেত, তা খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটিকে ভেঙে দুইটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
সান নিউজ/এমএইচ