আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ মার্কিন সেনা নিহত এবং আরো ২০০ জন আহত হয়েছে দাবি করে সংবাদ প্রচার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। খবরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টার এবং সামরিক সরঞ্জামগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।
বুধবার ভোরে ইরাকে দুটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামলার শিকার হওয়ার কথা জানানো হলেও হতাহতের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
এই দুই ঘাঁটি ছাড়াও আমেরিকার আরো অন্তত ১০০টি স্থাপনা টার্গেট করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তবে মার্কিন সামরিক সূত্রের বরাতে সিএনএনের খবরে বলা হয়, হামলার আগাম সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন ঘাঁটি দুটিতে অবস্থান করা মার্কিন সেনারা। আর তাই সময়মতো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। ফলে হতাহতের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার ভোরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে অন্তত এক ডজন মিসাইল হামলা চালায় ইরান। ইরানের ভূমি থেকে ইসলামী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরা মিসাইলগুলো ছোড়ে বলে ফার্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আনবারের ‘আইন আল আসাদ’ মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত দশটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ইরবিলে দ্বিতীয় হামলার খবর দেয়া হয়।
একইসঙ্গে তেহরান হুঁশিয়ার করে বলে, মার্কিন বাহিনী পাল্টা হামলা চালালে কঠোর জবাব দেয়া হবে।
এরপরই ইরাকে দুটি সেনাঘাঁটি আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। খুব শিগগিরই হামলার বিষয়ে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’নেয়া হবে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প এক টুইট বার্তা দেন। বুধবার ভোরে লেখা টুইটে তিনি লেখেন, সব ঠিক আছে! ইরাকে দুটি সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এখন হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হবে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোই চলছে। আমাদের আছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সেরা অস্ত্রে সজ্জিত সেনাবাহিনী। বুধবার সকালে আমি একটি বিবৃতি দেব।
সান নিউজ/সালি