নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ব করোনা মহামারি শংকটে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাবিশ্বে ২০ শতাংশ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সম্প্রতি প্রবাসীদের পরিবার নিয়ে তৈরি করা বিশ্বব্যাংকের ‘ডিকলাইন অব রেমিটেন্স ইন রিসেন্ট হিস্ট্রি’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে আরো জানিয়েছে, চাকরিচ্যুতির পাশাপাশি মজুরি কমে যাওয়ায় অনেক পরিবার দারিদ্রের শিকার হবে। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় সন্তানদের শিক্ষা খাতে ব্যয় বন্ধ ও শিশুশ্রম বৃদ্ধির শঙ্কাও আছে।
আরও বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়াতে এর মাত্রা হবে আরো বেশি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্স ধসের ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রবাসীদের মজুরি কমছে, চাকরিচ্যুত হচ্ছেন অনেকে। সেখানে আরো বলা হয়, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ৫৫ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাওয়া গেছে। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার কারণে তা কমে ৪৪ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে আসবে।
অর্থাৎ করোনার মহামারি রেমিট্যান্স কমবে ১০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে রেমিট্যান্স কমবে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় কমবে ২২ দশমিক ১ শতাংশ। যেখানে ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া ইউরোপ ও মধ্য এশীয়ায় হ্রাস পাবে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ, আফ্রিকায় ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ, লাতিন আমেরিকায় ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পূর্ব এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিকে ১৩ শতাংশ কমবে।
রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিট ম্যালপাস বলেন, ২০২১ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো রেমিট্যান্স ধসে কিছুটা উত্তরণ ঘটাতে পারবে। আশা করা যায়, সে বছর রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, রেমিট্যান্স নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অনগ্রসর পরিবারগুলোতে উন্নত ব্যয়ের সক্ষমতা তৈরির পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার পেছনে ব্যয়ে সক্ষমতা বেড়েছে এবং পরিবারের শিশুশ্রম নিরসনে ভূমিকা রাখছে। এখন নতুন করে এসব বিষয় ফিরে আসা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
সান নিউজ/সালি