আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। এরপরই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, ইরানের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও তার নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ জানানো উচিত।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলছেন, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এখন পর্যন্ত ইরানের সবচেয়ে কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ইরানের নতুন এই নেতা হয়তো দেশটির পরমাণু কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পাশাপাশি গতিশীল করবেন।
পরে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘তিনি (ইব্রাহিম রাইসি) একজন কট্টরপন্থি। তিনি ইরানের সামরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরমাণু কর্মসূচি এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’
এর আগে সদস্য সমাপ্ত নির্বাচনে সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি নির্বাচিত হয়েছেন বলে শনিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা দেয় ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট।
এদিকে নির্বাচনে জয়ের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকারের ওপর জনগণের বিশ্বাস বাড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেন রাইসি। এছাড়া সমগ্র জাতির প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনে জয়লাভের পর এখন একটি পরিশ্রমী, বিপ্লবী এবং দুর্নীতি-বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইব্রাহিম রাইসি ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। মাত্র ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইব্রাহিম রাইসি মোট ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া রাইসির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৭১২ ভোট পেয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজাই। তৃতীয় স্থানে থাকা মধ্যপন্থী আব্দুল নাসের হেমাতি ২৪ লাখ ৭ হাজার ২০১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া রক্ষণশীল প্রার্থী আমির হোসেইন গজিজাদেহ হাশেমী পেয়েছেন ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭১৮ ভোট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, শুক্রবারের ওই নির্বাচনে মোট ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৭০টি ভোট বাতিল করা হয়েছে; যা ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সূত্র: বিবিসি।
সান নিউজ/এসএম