ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ লাখ ৩৯ হাজার আক্রান্ত মানুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার। মৃতের সংখ্যাতেও সব দেশকে ছাপিয়ে গেছে দেশটি।
এপর্যন্ত দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। যেখানে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। অর্থাৎ বিশ্বে মোট মৃত্যুর এক চতুর্থাংশের বেশি মারা গেছে ট্রাম্পের দেশে।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগেই প্রথম দেশ হিসেবে করোনায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর তালিকায় নিজেদের নাম লেখায়। যার ধারেকাছেও কোনো দেশ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১৮ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থাৎ আজ থেকে ১৮ দিন আগে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখের বেশি। দেশটির মোট আক্রান্তের মধ্যে যা ৩০ শতাংশ। জনবহুল নিউইয়র্কে করোনায় মারা গেছে প্রায় ২৩ হাজার।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে নিউইয়র্কের পর যথাক্রমে রয়েছে নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, ক্যালিফোর্নিয়া ও পেনসেলভেনিয়া অঙ্গরাজ্য। নিউ জার্সিতে আক্রান্ত ১ লাখ ১৪ হাজারের মধ্যে ৬ হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ম্যাসাচুসেটসে আক্রান্ত ৫৬ হাজারের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
এমন অবস্থার মধ্যেই দেশের অর্থনীতি পুনরায় চালু করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৭ এপ্রিল) তিনি হোয়াইট হাউসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধানদের স্কুল চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেশের লকডাউন বিরোধীদের প্রকাশ্যে সমর্থন দিতেও দেখা যাচ্ছে তাকে।
তবে এই অবস্থায় দেশটিতে যদি সব কিছু পুনরায় খুলে দেওয়া হয় তাহলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে শুরু করবে বলে আগাম সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা।
করোনার কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত পাঁচ সপ্তাহে চাকরি হারিয়েছেন ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ১৯৩০ সালে মহামন্দার পর দেশটিতে এত মানুষের বেকার হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম।