আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন সরকার গঠন করেছে দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১২ বছর পর নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল দেশটি। অবসান হলো বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুগের।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট রোববার (১৩ জুন) নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। এরইমধ্যে কট্টর ডানপন্থী ইয়ামিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে টানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু গত কয়েক বছরে নানা কারণে ইসরায়েলিদের কাছে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ইসরায়েলে গত দুই বছরে মোট চারটি পার্লামেন্ট নির্বাচনে হয়েছে। কিন্তু সরকার গঠনের মত যথেষ্ট আসন কোনো দলই পায়নি।
নেতানিয়াহুকে সরাতে বিরোধী দলগুলোর অভূতপূর্ব জোট গঠনে ঐক্যমতের পর এই সরকার গঠিত হয়েছে। ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নেতানিয়াহুর দল ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে মাত্র একটি আসনের পার্থক্য। ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ১২০ আসন রয়েছে। এর মধ্যে নেতানিয়াহুর পক্ষে পড়ে ৫৯ ভোট। আর নতুন জোট সরকার গড়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৬০টি ভোট।
এর মাধ্যমে মূলত ইহুদি এই রাষ্ট্রটিতে টানা দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদী নেতা নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
এর আগে নেতানিয়াহুকে সরাতে বিরোধী দলগুলোর গঠন করা জোট সরকার অনুমোদন নিয়ে রোববার পার্লামেন্টে ভোটাভুটির দিন নির্ধারণ করা হয়। আর এ ভোটের জন্য ইসরায়েলি পার্লামেন্টের স্পিকার ১৩ জুন বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
এরপরই গত মঙ্গলবার এক টুইটে ইয়াশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিদ টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানান, ‘ইসরায়েল এবং এর নাগরিকদের ভালোর জন্য ঐক্যমতের সরকার আসছে।’
অবশ্য নতুন সরকার যেন পার্লামেন্টের অনুমোদন না পায়, সে জন্য সব রকম চেষ্টা করলেও নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি নতুন জোটের সদস্যদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।