আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইল নিজেকে শতভাগ সুরক্ষিত ও অজেয় বলে যে দাবি করে গাজা যুদ্ধে তার উৎসমূলে আঘাত হেনেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের সিনিয়র নেতা মাহমুদ আজ-জাহার গত শুক্রবার (১০জুন) আল-মায়াদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সিরিয়া, লেবানন, হামাস ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর স্বার্থ একই সুতায় গাঁথা। সেই অভিন্ন স্বার্থ হচ্ছে ইসরাইলের পতনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা।
আজ-জাহার বলেন, ইসরাইল নিজেকে অজেয় বলে দীর্ঘ দিন ধরে যে দাবি করে আসছিল ‘শোর্ড অব গাজা’ যুদ্ধে তার অসারতা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এর পরবর্তী যুদ্ধের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে; কারণ, এবারের যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ নিজেদের শক্তিমত্তা উপলব্ধি করেছে এবং বুঝতে পেরেছে তাদের পক্ষে নিজেদের অধিকার আদায় করা সম্ভব।
হামাসের এই সিনিয়র নেতা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে উদ্দেশ করে বলেন, তেল আবিবকে যদি শান্তিতে থাকতে হয় তাহলে নয়া ইসরাইলি মন্ত্রিসভা যেন সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে আল-কুদস ও মসজিদুল আকসায় কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড না ঘটায়।
গত মে মাসের গোড়ার দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের ব্যাপক দমন অভিযানের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। ইসরাইল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়।
ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করতে থাকে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। তারা এই ১২ দিনে জেরুসালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইসরাইলিদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়।ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখে তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়। সূত্র : পার্সটুডে
সান নিউজ/এমএম