আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে চীনের চিহ্ন আঁকলো চীনা রোভার ‘ঝুরং’। চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার শুক্রবার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোলার প্যানেলের ‘ডানা’ মেলে আর দুই ক্যামেরার ‘চোখ’ ব্যবহার করে মঙ্গলপৃষ্ঠে পাখির ভঙ্গিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝুরং।
গত মে মাসে মঙ্গলে অবতরণ করে চীনের পাঠানো এই রোভারটি। এর মাধ্যমে মানুষের নির্মিত কোনো অনুসন্ধানী রোবট প্রথমবার সফলভাবে স্পর্শ করে লাল গ্রহটির পৃষ্ঠ।
মহাকাশে চীনের ‘সুপারপাওয়ার’ হওয়ার লক্ষ্যে বেইজিংয়ের মাইলফলক এটি।
চীনে আগুনের দেবতা হিসেবে পরিচিত পৌরাণিক চরিত্র ঝুরঙের নামে নামকরণ করা হয় রোভারটির।
মঙ্গলে অবতরণের পর থেকেই ‘উটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া’ নামে পরিচিত বিস্তীর্ণ সমভূমির ‘টোপোগ্রাফি’ বা প্রাকৃতিক স্থানবিবরণী নিয়ে গবেষণা করছে ঝুরং। আগ্নেয়গিরির লাভায় গঠিত ওই অঞ্চলটি।
চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (সিএনএসএ) প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, মঙ্গলের লাল মাটিতে চীনের লাল পতাকা শোভিত ঝুরঙের ঘুরে বেড়ানোর পথটি স্পষ্ট।
এই দাগকেই ‘চীনের ছাপ’ আখ্যা দিয়েছে বেইজিং।
সৌর শক্তিতে পরিচালিত ছয় চাকার ঝুরঙের ওজন ২৪০ কেজি। আপাতত ছবি তুলে, ভূতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও নমুনা হিসেবে পাথর সংগ্রহ করেই সময় কাটছে রোভারটির। এসব কাজ চলবে তিন মাস পর্যন্ত।
সিএনএসএ জানিয়েছে, পরিকল্পনামাফিকই কাজ করছে ঝুরং। মঙ্গলের বুকে এখনও বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে সেটি।
মহাকাশজয়ের দৌড়ে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বাইরে মানুষ পাঠিয়েছে চীন, চাঁদে যান পাঠিয়েছে আর মঙ্গলে রোভার।
চীনের পর মঙ্গল ছুঁয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়াও।
সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল স্পর্শ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পাঠানো রোভার পারসিভারেন্স। মঙ্গলে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটি।
এর আগে মঙ্গলে রোভার সফলভাবে অবতরণ করাতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম