আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটকদের উপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে সংক্রমণ প্রতিরোধক টিকা নেয়া থাকলে এখন ফ্রান্স, স্পেন, গ্রিসসহ ইউরোপের অনেক দেশেই প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বীকৃত যেকোনো এক ধরনের টিকা নিলেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ভ্রমণ করা যাবে। এসব টিকার মধ্যে রয়েছে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন প্রভৃতি। এখন দেখা যাক কোন কোন দেশে কী নিয়মে ভ্রমণ করা যাবে-
ফ্রান্স
ফ্রান্সে যেতে হলে আগেই দুই ডোজ করোনা টিকা নিতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার অন্তত দুই সপ্তাহ পরে প্রবেশ করা যাবে ইউরোপীয় দেশটিতে। ৯ জুন থেকে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে ফ্রান্স।
ইইউ এবং ফ্রান্সের সবুজ তালিকায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকদের টিকা নেয়া থাকলে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে না। তবে টিকা না নিলে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে তারপর ঢুকতে হবে।
তবে ফ্রান্সের অরেঞ্জ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং এশিয়া ও আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ। এই দেশগুলো থেকে কোনো পর্যটক গেলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে দুই ডোজ টিকার পাশাপাশি করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।
স্পেন
গত ৭ জুন থেকে পর্যটকদের জন্য স্পেনের দরজা খোলা। তবে সেখানে যেতে হলে টিকার দুই ডোজ ছাড়াও করোনা নেগেটিভ সনদ সঙ্গে থাকতে হবে। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার অন্তত দুই সপ্তাহ পরে স্পেনে ঢোকা যাবে।
গ্রিস
বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে গ্রিস। তবে এর জন্য টিকা নেয়ার পাশাপাশি করোনা নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। এরপরেও বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করা হতে পারে।
সাইপ্রাস
করোনারোধী টিকা নেয়া থাকলেই সাইপ্রাসে যাওয়া যাবে। তবে এক ডজন দেশের নাগরিকদের জন্য এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। দুই ডোজ টিকা নিলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে না। তবে প্লেনে ওঠার আগে সাইপ্রাস ফ্লাইট পাস নিতে হবে।
ক্রোয়েশিয়া
টিকা নেয়ার সনদ থাকলে ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকতে বাধা নেই। তবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে গেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
জার্মানি
ইইউ’র বাইরের দেশের মানুষেরা বর্তমানে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জার্মানিতে ঢুকতে পারছেন না। ঢুকতে হলেও টিকা নেয়ার সনদ থাকা আবশ্যক। যেসব দেশকে করোনায় ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে জার্মানি, সেখানকার মানুষদের কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে।
সান নিউজ/এমএইচ