আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারি দ্বিতীয় দফার প্রকোপে বিপর্যস্ত ভারত ট্রায়াল শেষ হয়নি ও অনুমোদন পায়নি এমন একটি বেনামি কোভিড টিকার ৩০ কোটি ডোজ কেনার জন্য দেশটির একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
খবর ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি অনলাইনের।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। ভারতীয় কোম্পানি বায়োলোজিকাল ই-এর তৈরি বেনামি এই টিকাটি এখন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে রয়েছে। তবে প্রথম দুই দফার ট্রায়ালে ‘আশাব্যঞ্জক ফলাফল’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত সরকার ২০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে প্রথমবারের মতো এমন একটি টিকা ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেছি, যে টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে, টিকার চরম সংকটের মধ্যে ভারত সরকার এই টিকা কেনার কথা জানাল।
বিবিসি জানাচ্ছে, জানুয়ারির মাঝামাঝি টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর ভারত এ পর্যন্ত ২২ কোটির বেশি করোনা টিকার ডোজ মানুষকে দিয়েছে। তবে ১৪০ কোটির জনসংখ্যার অনুপাতে ভারতের করোনার টিকা দেওয়ার এই হার খুবই কম। চরম ঘাটতির কারণে দেশটির ১০ শতাংশেরও কম বাসিন্দা এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার মাত্র একটি করে ডোজ পেয়েছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারতে করোনায় দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও আক্রান্তের তালিকায় এখনো প্রতিদিনই এক লাখের বেশি মানুষ যুক্ত হচ্ছে। সরকারি হিসাবে মৃত্যু ৩ লাখ ৪০ হাজার হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংখ্যাটা অনেক বেশি।
সঠিক সময়ে ভারতীয় কিংবা বিদেশি কোনো টিকার কেনার জন্য ক্রয়াদেশ না দেওয়ার কারণে ও মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্র সরকার বিরোধীদলসহ জনতার কাছে ব্যাপক সমালোচিত।
উল্লেখ্য অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকা কোভিশিল্ড নামে তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এছাড়া ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত কোভ্যাক্সিন ও রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
বায়োলজিকাল ই-র কাছ থেকে ৩০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তির আগে গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ভারত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের প্রায় ৩৫ কোটি ডোজ কিনেছিল। বায়োলজিকাল ই-র টিকা ‘কয়েক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে’ বলে আশা করছে ভারত সরকার।
সাননিউজ/এএসএম