আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে ভিনরাজ্যে থাকেন স্বামী। ফেরার ইচ্ছা থাকলেও কাজের চাপ আর লকডাউনের কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। এই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন স্ত্রী। শেষপর্যন্ত গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন ওই নারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, দুঃখজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।
জানা যায়, মৃতের নাম সুষমা পাইক। তার বাবার বাড়ি কুলতলিতেই। নিকটবর্তী চুপড়িঝাড়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। বছর দু’য়েক আগে বিয়েও করেন তারা।
বিয়ের এক বছর পর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কাজের উদ্দেশে তামিলনাড়ু পাড়ি দেন ওই যুবক। স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। কিন্তু একে কাজের চাপ, তার ওপর লকডাউনের কারণে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না তিনি। ওদিকে স্বামীকে দীর্ঘদিন কাছে না পাওয়ায় মানসিক অবসাদ গ্রাস করে সুষমাকে।
গত বুধবার শ্বশুরবাড়িতে পাওয়া যায় ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীকে দীর্ঘদিন কাছে না পেয়ে মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন সুষমা।
অবশ্য মৃতের মামার দাবি, জামাই না থাকায় তার ভাগ্নি মনমরা হয়ে থাকত ঠিকই। তবে এই কারণে আত্মহত্যা করেনি। সুষমাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
সাননিউজ/এএসএস