আহমেদ রাজু
আঠারশ শতকের শেষদিকে বিশ্বের কোটি কোটি যুবকের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন মেরি গার্ডেন।
যুবকদের কাছে তিনি ছিলেন এক সৌন্দর্যের প্রতীক। নজরকাড়া স্টাইলের কারণে যুবতীদের কাছেও তিনি ছিলেন অনুকণীয় ফ্যাশন আইকন!
মেরি ছিলেন সেই সময়ের শীর্ষ অপেরা শিল্পি। বিশ শতকের তিরিশ দশক পর্যন্ত জনপ্রিয়তায় তার ধারেকাছেও কেউ পৌঁছাতে পারেনি।
মার্কিন নাগরিক হলেও তিনি বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ফ্রান্সে। তার সময়ে মানবিক সাহায্যের জন্য সব কনসার্টেই তার ডাক পড়তো।
১৯১২ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে টাইটানিকের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের সাহায্যার্থে আয়োজিত হয় একটি কনসার্ট। মেরি ছিলেন সেই কনসার্টের প্রধান ভোকাল। আড়াই লাখ ডলার তিনি সাহায্য তুলে দিয়েছিলেন।
দুটি নির্বাক চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছিলেন। ১৯১৭ সালে ‘থাইস’ ও ১৯১৮ সালে ‘স্প্লেনডিড সিনার’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। মঞ্চে তার শেষ পারফর্ম ছিলো ১৯৩৪ সালে।
মেরির জন্ম ১৮৭৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনে। নয় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি চলে যান আমেরিকায়। অবসরের পর শেষ জীবন তিনি স্কটল্যান্ডেই কাটান।
১৯৬৭ সালের ৩ জানুয়ারি ৯৪ বছর বয়সে তিনি স্কটল্যান্ডে পৃথিবী থেকে প্রস্থান করেন। একটি স্বর্ণময় যুগের অবসান ঘটে!
সান নিউজ/আরএস