আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। এদের মধ্যে অনেক দেশে এখনো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি।
এর পেছনে করোনা পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির বড় প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক সাফল্য দেখানো দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জার্মানিতেও।
ইউরোপীয় দেশটিতে দ্রুত করোনা পরীক্ষায় বেসরকারি কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে জার্মান সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন নজরদারি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবর অনুসারে, গত মার্চ থেকে সপ্তাহে অন্তত একবার বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করানোর সুযোগ পাচ্ছে জার্মানির মানুষজন। প্রাথমিক এই পরীক্ষায় সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া না গেলে মানুষ সেই ফলাফল দেখিয়ে দোকান, বাজার, রেস্তোরাঁয় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে।
দেশজুড়ে এই সুবিধা ছড়িয়ে দিতে জার্মান সরকার বহু বেসরকারি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে এবং এর শতভাগ ব্যয় বহন করছে। আর সেই সুযোগেই অনেকে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, জার্মানির কোলন শহরের একটি কেন্দ্রে এক হাজার পরীক্ষার জন্য সরকারি ভর্তুকি নেয়া হয়েছে, অথচ সেখানে বাস্তবে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৭০টি।
সরকার জনপ্রতি ১৮ ইউরো দেয়ার ফলে এভাবে বিশাল অংকের মুনাফা করছে অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। তাছাড়া দ্রুত পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক কেন্দ্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে সংক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের করোনা নেগেটিভ ফলাফল আসারও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর ওপর আরও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের জন্য চাপ বাড়ছে জার্মান সরকারের ওপর। এর প্রেক্ষিতে জার্মানিতে বাণিজ্যিক প্রতারণার জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে মনে করিয়ে দিয়েছে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়।
তবে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, বেশিরভাগ করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ম মেনে কাজ করছে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।
সাননিউজ/এএসএম