আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের শেষ দেখতে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বিরোধী দলগুলো। সরকার গঠনে ইসরায়েলে ইয়েশ আতিদ দলের প্রধান ইয়ায়ির লাপিদের হাতে থাকা ২৮ দিন মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বুধবার।
রোববার (৩০ মে) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে প্রচার করেছে, সম্ভাব্য জোট সরকার গঠনের একদম কাছাকাছি চলে এসেছেন সাবেক এই ইসরায়েলি সাংবাদিক।
এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও লিকুদ দলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসন শেষ হতে চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ছয় আসন পাওয়া রক্ষণশীল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফাতলি বেনেটের সঙ্গে লাপিদ জোট সরকার গঠনের জন্য আলোচনা করছিলেন। লাপিদের সঙ্গে জোট সরকার গঠনে সম্মতির বিষয়ে বেনেট রোববার অবস্থান জানিয়েছেন। তবে এর আগে বেনেটকে নিজ দলীয় নেসেট সদস্যদের লাপিদের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে সম্মত করাতে হবে।
জোট সরকার গঠনে বেনেট সম্মতি দিলেও নির্ধারিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারছেন না ইয়ায়ির লাপিদ। সরকার গঠনের জন্য নেসেটের আরব-ইসরায়েলি সদস্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হচ্ছে তার। ইসরায়েলে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় গত ২৩ মার্চ দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই নির্বাচনেও কোনো দল বা জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
ইসরায়েলে সরকার গঠনের জন্য ১২০ আসনবিশিষ্ট আইন পরিষদ নেসেটের ৬১ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। প্রথম দফা আলোচনার পর নেসেটের ৫২ সদস্য প্রধানমন্ত্রী পদে নেতানিয়াহুর সুপারিশ করায় এপ্রিলের শুরুতে তাকে সরকার গঠনের জন্য প্রথম মনোনয়ন দেন রিভলিন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জিত না হলেও ওই সময় এটিই ছিল সর্বোচ্চ মনোনয়ন।
কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে নেতানিয়াহুকে সমর্থন করা জিউনিস্ট পার্টি কোনো আরব দলের সঙ্গে সরকার গঠনের অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি সরকার গঠনে ব্যর্থ হন। নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার পর ৫ মে নতুন করে নেসেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট রিভলিন। নতুন আলোচনায় রক্ষণশীল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেটের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির এক প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে মোট ৫৬ সদস্যের সুপারিশ পান লাপিদ।
ক্ষমতা ভাগাভাগির এই প্রস্তাবনায় লাপিদ ও বেনেট পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। প্রস্তাবনা অনুসারে প্রথম দফায় লাপিদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।