আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা বিজ্ঞানীরাই উহানে একটি ল্যাবে করোনাভাইরাস তৈরি করেছেন। এ ভাইরাস তৈরিতে নিজেদের ভূমিকা গোপন রাখতে রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভাইরাসের আরও একটি সংস্করণ তৈরি করা হয়। যাতে মনে হয় এটি বাঁদুড় থেকে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট।
রোববার (৩০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ অধ্যাপক আঙ্গুস ডালগ্লেইশ ও নরওয়ের বিজ্ঞানী বিরজার সোরেনসেন গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। আঙ্গুস লন্ডনের সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজির অধ্যাপক এবং সোরেনসেন ইমিউনর নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।
২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হয়। ভাইরাসটির উৎপত্তির জন্য চীনের পশু বিক্রির একটি বাজারের কথা বলা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে।
শুরু থেকেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন করোনাভাইরাস তৈরির জন্য চীনকে দায়ী করে আসছে। ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার পর এ বিতর্ক থেমে যায়। কয়েকদিন সেই বিতর্ক উসকে দেন চীনের ভাইরোলজিস্ট ড. লি মেং ইয়ান।
তিনি দাবি করেন, তার কাছে প্রমাণ রয়েছে যে করোনাভাইরাস চীনের একটি ল্যাবে তৈরি হয়েছে। গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করছেন ইয়ান। তিনি জানান, এ বিষয়ে মুখ খোলায় তাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়। তিনি প্রাণ বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীনা বিজ্ঞানীরা একটি প্রাকৃতিক করোনাভাইরাসের মেরুদণ্ড পেয়েছেন চীনের গুহার একটি বাদুড়ের দেহে। তারা এটিকে নতুন একটি স্পাইকে যুক্ত করেন। এতে ভাইরাসটি প্রাণঘাতী ও উচ্চ সংক্রমণশীল কোভিড-১৯ এ পরিণত হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গবেষকরা কোভিড-১৯ এর নমুনায় বিশেষ ফিঙ্গার প্রিন্ট পেয়েছেন। যা কেবল একটি গবেষণাগারেই কারসাজি করা সম্ভব।