আন্তর্জাতিক

সেনা প্রত্যাহার করলেও আফগানিস্তানে থাকতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। ওই ঘোষণার আলোকে ইতোমধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরুও করেছে আমেরিকা ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোজোট।

কিন্তু তালেবান নতুন একটি বিবৃতিতে অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে অবস্থান করে আফগানিস্তানের ওপর নজরদারি করতে চায়। আর সেটা হবে পাকিস্তানে বসে। যদিও পাকিস্তান তাদের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি গাড়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।

আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম তোলো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার তালেবান এক বিবৃতিতে অভিযোগ তুলেছে, পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্য হলে আফগানিস্তানে আরও রক্তপাত ঘটবে বলেও সতর্ক করেছে তালেবান। গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করছে তালেবান। ২০০১ সালে আমেরিকার টুইনটাওয়ারে হামলার জেরে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে মার্কিন বাহিনী।

তালেবানের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে থাকতে চাইলে সেটা হবে ২০২০ সালের ‘দোহা চুক্তি’র লঙ্ঘন। যদিও আমেরিকা দোহা চুক্তির প্রতিশ্রুতি পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মর্কিন প্রেসিডেন্ট তালেবানের সঙ্গে এক শান্তি চুক্তি করে। চুক্তির শর্ত ছিল- ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র, আর তালেবান আফগানিস্তানের মাটিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে দিবে না। কিন্তু জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সহিংসতার অজুহাতে সৈন্য প্রত্যাহারে বিলম্বের ইঙ্গিত দেন। তবে গত এপ্রিলে তিনি ১১ আগস্টের মধ্যে সকল সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

ওই বিবৃতিতে তালেবান পাকিস্তানের প্রতি আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্ব বজায় রাখতে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি গড়ার সুযোগ দিলে সেটা মারাত্মক ভুল হবে বলেও উল্লেখ করেছে তালেবান।

তবে পাকিস্তান দেশটিতে মার্কিন ঘাঁটির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি পাকিস্তান সিনেটকে বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে এমন কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি।

সান নিউজ/আরআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছ...

ফের বাড়ল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা...

ফের হারলো সাকিবের দল

স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে ফের হারের মুখ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা