আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়া এবার শব্দের চেয়েও ২০ গুণ গতিবেগ সম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম এমন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফায়ার সিস্টেম (ইডাব্লিউ) তৈরি করতে শুরু করেছে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সামরিক শক্তির ভারসাম্য পুরোপুরি বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইজভেস্টিয়ারের বরাতে এ তথ্যটি প্রকাশ করেছে বুলগেরিয়ান মিলিটারি ডটকম।
সামরিক বিশ্লেষক দিমিত্রি করনভ জানান, 'নতুন ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফায়ার সিস্টেম যুদ্ধে ব্যবহৃত প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থার ধরণ ও দিকনির্দেশনা পদ্ধতি পুরোপুরি বদলে দেবে। হাইপারসনিক বিমান এবং গোলাবারুদ মোকাবেলার জন্য এটি একটি সস্তা এবং কার্যকর উপায় হবে।'
ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফায়ার ব্যবস্থা কেবল বিদ্যমান এবং ভবিষ্যতের হাইপারসনিক অস্ত্রগুলো প্রতিরোধেই সক্ষম হবে না একই সঙ্গে হাইপারসনিক গতিতে আক্রমণও চালাতে পারবে। এটি আরো কার্যকরভাবে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলি রক্ষা করবে বলে জানিয়েছে ইজভেস্টিয়ার।
এটি থাকলে বিপুল সংখ্যক রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের পাশাপাশি হাজার হাজার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উৎপাদন প্রয়োজন হবে না। ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমের সাহায্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নিরাপদ রাখা সহজ হবে। এটি পুরো দেশ জুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের চেয়ে অনেক সহজ। এর অভিনবত্ব হচ্ছে বিদ্যমান বিমান প্রতিরক্ষা সংযোজন হবে এবং গাইডেড মিসাইলকে লক্ষ্য আঘাত হানাতে দেবে না।'
উল্লেখ্য, রাশিয়ার হাতে এরকম এন্টি হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম থাকার মানে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল সিস্টেম আপুরোপুরি অকার্যকর হয়ে গেল। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান যে ব্যালাস্টিক মিসাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেটা দিয়ে রাশিয়ার এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করা যাবে না। এমনকি সুপারসনিক মিসাইল দিয়েও না। সূত্র- বুলগেরিয়ান মিলিটারি ডটকম।
সান নিউজ/আরএইচ