আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্রায় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে বিজ্ঞান। যে মুহুর্তে সারা বিশ্ব আজ করোনার প্রভাবে নাস্তানাবুদ, লাখের উপরে মারা গেছে মানুষ, আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২৬ লাখ। সেই মুহুর্তে বহুল প্রতিক্ষীত করোনাভাইরাসের টিকা মানবদেহে প্রয়োগ হতে যাচ্ছে আজ।
এক বছর থেকে ৯০ বছর বয়সের ৫০০ জন ‘করোনা’ আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে এ টিকা।
‘স্যাডক্স১’ (Chadox1) নামক এ টিকাটি আবিষ্কার করেছেন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজ্ঞানী সারাহ ক্যাথেরিন গিলবার্ট। তার দলে আরো রয়েছেন, অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ও ড স্যান্ডি ডগলাস। খবর- দ্যা গার্ডিয়ান।
২০১৪ সালে বিশ্বে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইবোলা ভাইরাস। সেই ইবোলা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারেও ছিলেন বিজ্ঞানী গিলবার্ট।
সারাবিশ্ব যখন এই করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে স্থবির, দিশেহারা বিশ্বনেতারা; ঠিক তখনই আবার আলোক বর্তিকা হাতে সেই সারাহ গিলবার্ট।
টিকা সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের হেলথ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেন, সাধারণ সময়ে টিকা তৈরির এ পর্যায়ে পৌঁছতে বছরের পর বছর লেগে যায়। এবার এখন পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে তাতে আমরা গর্বিত। মানবদেহে টিকাটির পরীক্ষা সফল হলে সেপ্টেম্বরেই বড় পরিসরে বাজারজাত করা ছাড়া সম্ভব হবে।
অধ্যাপক সারাহ ক্যাথেরিন গিলবার্ট বলেন, কার্যকর একটি টিকা তৈরির গবেষণায় সাধারণত ১৮ মাস লেগে যায়। কিন্তু এটি খুবই দ্রুত সম্ভব হয়েছে। আমরা নিজেদেরকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করছি।
সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই টিকার ১০ লাখ ডোজ তৈরি করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। তবে এই টিকার ভবিষ্যত নির্ভর করছে আজকের ফলাফলের ওপর।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজ্ঞানীরা এটার সফলতার ব্যাপারে ৮০ ভাগ আশাবাদী।
সান নিউজ/সালি