আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনায় ইরানি নৌযানের ওপর কোনো ধরণের হামলা চালানো হলে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইরান।
২২ এপ্রিল বুধবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প জানান, মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজকে হয়রানি করলে ইরানের যেকোনো ধরনের নৌযান ধ্বংস করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ওইদিন ইরানে প্রথমবারের মতো সামরিক স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের ঘোষণার পরেই এই হুমকি দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় এক টুইটার বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এ অবস্থায় তাদের হুমকি না দিয়ে নিজেদের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মার্কিন উপস্থিতির কারণে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে মার্কিনিদের যেকোনো বেআইনি পদক্ষেপের কঠিন জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।এছাড়া পারস্য উপসাগরে যেকোনো মার্কিন সামরিক হামলার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে দেশটি।
এর আগে, পারস্য উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর টহলের সময় ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
নিয়মিত টহলের সময় দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই উত্তেজনা তৈরি হয়। একেবারে কাছাকাছি অবস্থানে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর যান চলে এলেও কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
তবে পেন্টাগন বলছে, ইরানের সামরিক বাহিনী বিপজ্জনক এবং উস্কানিমূলক আচরণের ফলে মারাত্মক সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উপসাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর টহলের মাত্র ৯ মিটার দূরে অতিরিক্ত গতিতে ইরানি সামরিক যান চলাচল করেছে বলেও অভিযোগ করেছে পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মার্কিন সামরিক যান থেকে সতর্ক করে দেয়া হলেও আইআরজিসি তা কর্ণপাত করেনি। পরে বেতারে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন যানের কাছ থেকে দূরে চলে যায় ইরানের টহল দলের সদস্যরা।
এদিকে, রোববার উপসাগরে আইআরজিসি’র নিয়মিত টহলের সময় মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অপেশাদারী এবং উস্কানিমূলক আচরণের অভিযোগ করা হয়। সূত্র- আল জাজিরা, পার্সটুডে।
সান নিউজ/সালি