আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিন ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে উল্লেখ করে এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইরান।
তেহরান বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের এই জয় ঐতিহাসিক। এর আগে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ফিলিস্তিনের প্রাণঘাতী ভয়ানক আঘাত এবং ফিলিস্তিনি অস্ত্রের শক্তি প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছিল।
ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না ইরান। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসকে অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে তেহরান।
শুক্রবার (২২মে) মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগে পর্যন্ত ইসরায়েলের ভেতরে শত শত রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী। পাল্টাপাল্টি হামলায় ইসরায়েলে এক ডজন এবং ফিলিস্তিনের ২৩০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
যদিও ইসরায়েল বলেছে, আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের ছোড়া রকেটের বেশিরভাগই লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই এবং বোনদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতিরোধ আগ্রাসী দখলদার বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।
এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলেছে, ‘পাথরের ব্যবহার থেকে শুরু করে শক্তিশালী, সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র ইন্তিফাদার (ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থান) সফলতা এনেছে... জায়নিস্টরা ভবিষ্যতে দখলকৃত ভূখণ্ডগুলো থেকে মারাত্মক আঘাতের প্রত্যাশা করতে পারে।’
এক বছর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের সামরিক শক্তিতে ভারসাম্য এনেছে তেহরান।
এদিকে, শুত্রবার নিজেদের তৈরি একটি যুদ্ধ ড্রোনের প্রদর্শন করেছে ইরান। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোনের নামকরণ করা হয়েছে ‘গাজা’ নামে।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট, তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি।
সাননিউজ/এএসএম