আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার এ ঘটনা ঘটল। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও সরাসরি গুলির ঘটনাও ঘটেছে। এরপর ফিলিস্তিনিরা পাল্টা প্রতিরোধ করতে শুরু করলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনেক ফিলিস্তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি উদযাপনে মসজিদ প্রাঙ্গনে সমবেত হলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। আগের মতো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে ইসরায়েলি পুলিশ।
দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল-জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তখন গান গাচ্ছিল ও স্লোগান দিচ্ছিল। তার পাশে থাকা ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গনে আসে এবং সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে; তারা সবসময় এটা করে আসছে।
পুলিশ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে এ সময় স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।’
‘তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) তখন ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলিও ছোড়ে’ বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিনিধি।
আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও তার পর হামাসের পাল্টা জবাবের পর থেকে গত ১০ মে থেকে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় অন্তত ২৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৬টি শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে মারা গেছেন ১২ জন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনেই নতুন করে এমন সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সাননিউজ/এএসএম