আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহামারির করোনার থাবায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস এ তথ্য জানায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ হাজার ৭৯১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৮১ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৪ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৮ লাখ ২ হাজার ২৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ১৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৪ জনের।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৪০৫ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ১৫৬ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন, রাশিয়ায় ৪৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৬ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ৫২৭ জন, ইতালি ৪১ লাখ ৭২ হাজার ৫২৫ জন, তুরস্কে ৫১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮ জন, স্পেনে ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৯২৮ জন, জার্মানিতে ৩৬ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৮ হাজার ১৮১ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ১৬ হাজার ৯৬৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৬৯৪ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৪ হাজার ৬৪৬ জন, তুরস্কে ৪৫ হাজার ৪১৯ জন, স্পেনে ৭৯ হাজার ৫৬৮ জন, জার্মানিতে ৮৭ হাজার ৪০৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ২০ হাজার ৭৪৬ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
সান নিউজ/বিএস