আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে যাওয়ারর অভিযোগ উঠেছে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের। কয়েকঘণ্টা ধরে রাস্তায় পড়ে থাকা সেই মরদেহ স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রধানের উদ্যোগে সৎকার করা হয়।
সোমবার (১৭ মে) মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রদেশের দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির চকমানিক গ্রামে ঘটেছে বলে খবর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার।
এক প্রতিবেদনে আনন্দবাজার বলেছে, করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধের কারণে অ্যাম্বুল্যান্স পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মধ্যেই চকমানিক এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রোববার বিকেলে হঠাৎ তার হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হয়। অনেক কষ্টে অভিজিতের মা ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করেন।
পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগে পথেই মারা যান অভিজিত। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরে অ্যাম্বুল্যান্স চালক মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে বেশি টাকা দাবি করেন।
অভিজিতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে রওয়ানা দিলেও মাঝপথেই মৃতদেহ ফেলে চলে যান অ্যাম্বুলেন্সের চালক। ছেলের রদেহ বাড়িতে ফেরানোর জন্য রাস্তায় বসে কান্নাকাটি শুরু করেন মা। স্থানীয়রা এই দৃশ্য দেখার পর এগিয়ে আসেন, খবর যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে।
বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন ঘটনাস্থলে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পিপিই পরে শববাহী গাড়িতে তুলে দেন অভিজিত রায়ের মরদেহ। পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বজবজ কালীবাড়ি চিত্রলগঞ্জে। রাতেই সেখানে অভিজিতের সৎকার সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে বুচান বলেন, ‘অসাধু এই অ্যাম্বুল্যান্স চালক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইতোমধ্যে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাননিউজ/এএসএম