আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেরুজালেমে কট্টর ইহুদি এবং ইসরায়েলি পুলিশের সাথে ফিলিস্তিনিদের ছোটখাটো যে সংঘাতের শুরু কয়েক সপ্তাহ আগে তা রীতিমতো এক লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। একদিকে ইসরায়েল চালাচ্ছে বিমান হামলা ও অন্যদিকে হামাস চালাচ্ছে রকেট হামলা।
ফিলিস্তিনের দাবি, ইসরায়েলের চালানো হামলায় তাদের শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার আগে গাজায় ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা ও এপির কার্যালয়। এর জেরে পশ্চিম তীরে নতুন করে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিনিধি সাফওয়াত আল-কাহলোত গাজায় গণমাধ্যমটির কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি অভিযানের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি গত ১১ বছর ধরে এই কার্যালয়ে কর্মরত। এই ভবনটি থেকে অনেক ঘটনার সংবাদ পরিবেশন করেছি। মাত্র দুই সেকেন্ডের মধ্যে ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
এ ঘটনার পর আলাদাভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তা হলো মূলত দু’পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘাত থামাতে তাদের সাথে কথা বলেন বাইডেন। নেতানিয়াহুর সাথে কথোপকথনে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানান বাইডেন। একইসঙ্গে বেসামরিক জনগণ ও সাংবাদিকদের জীবন রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।
বাইডেনের কল পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসের ওপর হামলা চলতে থাকবে।
আল-জাজিরা ও এপির কার্যালয় থাকা ভবনে হামলার পেছনে অজুহাত দিয়ে ইসরায়েল বলছে, এ ভবনের সাথে হামাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এপির প্রধান নির্বাহী গ্যারি প্রুইট বলছেন, এ হামলায় তিনি হতবাক হয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন এর জন্য ইসরায়েল সরকার কাছ থেকে জবাব চান তিনি।
সান নিউজ/এসএম