আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা ও পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি তাণ্ডবের কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ।
পৃথক বিবৃতিতে গোষ্ঠী দুটি জানিয়েছে, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা রকেট হামলা চালিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে হামাসের মুখপাত্র ফউজি বারহোম বলেন, বোমার বদলে বোমা নীতি থেকে হামাস সরে যায়নি। ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা এবং জেরুজালেম ও পবিত্র আল আকসা মসজিদে আমাদের লোকদের ওপর দখলদারিত্ব ও অপরাধের প্রতিশোধ নেয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা, যার সর্বাগ্রে রয়েছে কাসেম ব্রিগেড (হামাসের সামরিক উইং)।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও সংকল্প ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে লড়াই গাজা উপত্যকায় সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনীর এই আগ্রাসন ঠেকাতে হামাস ও গাজা-ভিত্তিক অন্য গোষ্ঠীগুলো সব কিছু ত্যাগ করে পূর্ণশক্তিতে আঘাত অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছেন হামাসের এ নেতা।
এর আগে, কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা জানান, তারা ইসরায়েলের আশকেলন ও আশদুদ শহরে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ রকেট হামলা চালিয়েছেন।
মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে শহর দুটি লক্ষ্য করে অন্তত ১৩৭টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার জন্য হামাসের কাছে আরও অসংখ্য রকেট রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের তিন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। এর প্রতিশোধ নিতে আশকেলনে রকেট হামলা চালিয়েছে পিআইজের সামরিক উইং কুদস ব্রিগেড। তাদের এ হামলায় ইসরায়েলের দুইজন নিহত ও আরও এক ডজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
কুদস ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু হামজাহ জানিয়েছেন, ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরসহ দখলকৃত ভূমিতে আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে, ততক্ষণ তাদের ওপর হামলাও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের নিরীহ বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা এবং মুজাহিদ [যোদ্ধাদের] হত্যার প্রতিক্রিয়া হবে কঠোর। শত্রুদের যেকোনো মুহূর্তে এর জবাব দেয়া হবে।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট
সাননিউজ/এএসএম