আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনায় মৃত্যুর পর আবারও দীর্ঘক্ষণ ধরে বাড়িতে পড়ে থাকার খবর এল। ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায় কোভিডে আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রায় ১৩ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দেহ সৎকারের জন্য এগিয়ে এল না প্রশাসন। এমনকি, ঝড়বৃষ্টির মধ্যে তার বাড়ির উঠানে দেহ দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে থাকে।
রোববার (০৯ মে) খবর পেয়ে রাতে প্রশাসনের উদ্যোগে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে। মৃতের পরিবারের সদস্যরাই পিপিই কিট পরে পৌরসভার গাড়িতে দেহ তুলে তা সৎকারের জন্য শ্মশানের দিকে রওনা হন।
রোববার সকাল সাতটার দিকে হাবড়া থানার অন্তর্গত বেলের মাঠ এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব আশালতা মণ্ডলের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কর্মসূত্রে ভিন্ন রাজ্যে থাকেন। প্রায় সাত দিন ধরে জ্বর থাকায় গত ৬ এপ্রিল আশালতার কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টে জানা যায়, বৃদ্ধা কোভিড পজেটিভ। তার পর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তার।
রোববার সকালে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, দেহ সৎকারের জন্য প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও কোনও সাহায্য পাননি তারা। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বৃদ্ধার দেহ দীর্ঘক্ষণ ধরে তার বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে। এর পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে বৃদ্ধার বাড়িতে ২টি পিপিই কিট দেওয়া হয়।
অবশেষে বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর পৌরসভা থেকে সৎকারের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়। বৃদ্ধার বাড়ির দু’জন মহিলা সদস্য পিপিই কিট পরে দেহ গাড়িতে তোলেন বলে দাবি তাদের।
ওই বৃদ্ধার দেহ দীর্ঘক্ষণ তার বাড়িতে পড়ে থাকলেও এ নিয়ে কার্যত নির্লিপ্ত হাবড়া পৌরসভা। সেখানকার প্রধান প্রশাসক নিলিমেশ দাস বলেন, ‘বৃদ্ধার দেহ সৎকারের জন্য ব্লক থেকে আমাদের খবর দেওয়া হলে তার সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
সাননিউজ/এএমএম