আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সারভাইলেন্স ফর সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন হাসপাতালে করোনা সন্দেহে এক বৃদ্ধের শেষকৃত্য নিয়ে রণক্ষেত্র বানিয়েছে এলাকাবাসী।
আলিপুরদুয়ারের শালকুমার এলাকার প্রধানপাড়া প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৯ এপ্রিল) রাতের এই ঘটনায় ২২ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাদারিহাট থানা এবং সোনাপুর ফাঁড়ির দুই ওসি রয়েছেন। এক সাব-ইনস্পেক্টরের আঘাত গুরুতর।
সোমবার (২০ এপ্রিল) গুরুতর আহত পুলিশদের শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা কয়েকটি পুলিশের গাড়ি এবং একটি মাটি কাটার যন্ত্র ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে পুলিশের গুলিতে এক স্থানীয় যুবক জখম হন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পুলিশেরই একটি সূত্রের দাবি, ১০ জন পুলিশ প্রাণ বাঁচাতে সংলগ্ন জলদাপাড়া জঙ্গলে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। সকালে বনকর্মীরা তাদের উদ্ধার করেন।
জানা যায়, ওই হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হলে ওই ব্লকেরই শালকুমার ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তোর্সার চরে তার শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
এই বিষয়ে আপত্তি ছিল গ্রামবাসীদের। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বাবুল কারজির অভিযোগ, ‘প্রথম দিকে বিষয়টিতে আমাদেরও অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।’
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এরই মধ্যে রবিবার দুপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক বৃদ্ধ ভর্তি হন ওই হাসপাতালে। বিকেলে তার নমুনা সংগ্রহ হলেও পরীক্ষা করতে পাঠানোর আগে সন্ধ্যাতেই তার মৃত্যু হয়। সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) রাত নয়টা নাগাদ বৃদ্ধের শেষকৃত্যের জন্য সোনাপুর ফাঁড়ি ও আলিপুরদুয়ার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে প্রধানপাড়ায় তোর্সার চরের কাছে পৌঁছায়। তত ক্ষণে সেখানে জড়ো হয়ে গিয়েছিলো কয়েক’শ মানুষ। আর এরপরই গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।
সান নিউজ/ আরএইচ