আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্ট এখন ভারতের রাজধানীর হাসপাতালগুলোর শেষ অবলম্বন। অক্সিজেন পেতে এখন হাসপাতালগুলোতে সরকারের নয় বরং আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারকের একটি বেঞ্চকে এখন প্রতিদিনই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর দায়ের করা পিটিশনের শুনানি করতে হচ্ছে।
ভারতীয় সংবিধানের জীবনরক্ষার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হচ্ছে এসব পিটিশনে। শুনানিতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের হাজির থাকতে হচ্ছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে অনেক জীবন রক্ষা পেয়েছে।
রোববার সিতারাম ভার্তিয়া হাসপাতালের ৪২ রোগীর জন্য মাত্র ৩০ মিনিটের অক্সিজেন ছিল। কোথাও অক্সিজেন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়ে কর্তৃপক্ষকে। আদালত দ্রুত রাজ্য সরকারকে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়।
আইনজীবী শায়েল ত্রিহান বলেন, ‘শুনানির পর দ্রুত অক্সিজেন সিলিন্ডার চলে আসে এবং কয়েক ঘণ্টা পর চলে আসে একটি অক্সিজেন ট্যাংকার।’
গত দুই সপ্তাহ ধরে দুই কোটি মানুষের শহর দিল্লিতে মেডিকেল অক্সিজেন সংকট চলছে। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। দিল্লিতে এখন করোনায় দৈনিক আক্রান্তের গড় প্রায় ২০ হাজার। বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় নগরীর স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ধস নেমে এসেছে। প্রতিদিন রাজধানীতে এখন ৯৭৬ টন মেডিকেল অক্সিজেন প্রয়োজন। অথচ পাওয়া যাচ্ছে ৪৯০ টনেরও কম।
আদালতে মোদি সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অক্সিজেনের জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সরকার এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। দুই বিচারকের বেঞ্চকে প্রতিদিন একই কথা শুনতে হচ্ছে এবং এর ফলে মাঝে মাঝে তারা মেজাজের খেইও হারিয়ে ফেলছেন।
গত সপ্তাহে বিচারপতি বিপিন সাংহি এক পর্যায়ে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মাথার ওপর দিয়ে পানি বইছে। যথেষ্ট হয়েছে... যথেষ্ট।’
সাননিউজ/এএসএম