আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে ভারত। দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ পার হয়েছে চার লাখের গণ্ডি।
দৈনিক মৃত্যুও ছাড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজারের ঘর। এই পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবিলায় ভারতের সেনাবাহিনীকে বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারবে সেনাবাহিনী।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, ‘নির্দেশনায় দেওয়া ক্ষমতার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা করোনা মোকাবিলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আইসোলেশন সেন্টার এবং হাসপাতাল নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে পারবেন তারা।’
নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা মোকাবিলায় প্রতিটি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কোর কমান্ডার এবং এরিয়া কমান্ডাররা (লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা) ৫০ লাখ রুপি করে খরচ করতে পারবেন।
ডিভিশন কমান্ডার এবং সাব-এরিয়া কমান্ডার (মেজর জেনারেল পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা) প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০ লাখ রুপি পর্যন্ত খরচের ক্ষমতা পাবেন।
শনিবার (১ মে) থেকেই এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দেওয়া এই ক্ষমতা আগামী ৩ মাস অর্থাৎ ৩১ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য সাধারণত সেনাবাহিনীকে এ ধরনের আপৎকালীন আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়।
গত বছর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে একই ভাবে সেনা কমান্ডারদের বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছিল মোদি সরকার।
সাননিউজ/এএসএম