আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডিসিভিরের জন্য বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দারস্থ হয়েছে।
অবশ্য ওষুধটির প্রস্তুতকারক সংস্থা গিলিয়াড সায়েন্সেস ভারতকে সাড়ে চার লাখ শিশি রেমডেসিভির সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই চার দেশ থেকে করোনার বিশেষায়িত এই ওষুধ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে।
চলমান এই সংকটের কারণে চলতি মাসের শুরুতে ভারত রেমডিসিভির এবং এর কাঁচামাল আমদানির ওপর আরোপিত কর মওকুফ করে। গিলিয়াড স্থানীয়ভাবে ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল দিতেও সম্মত হয়েছে। একে কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
ভারত বর্তমানে বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট, কনসেনট্রেটর ও রেমডিসিভিরের মতো জরুরি ওষুধ সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় বা সংগ্রহের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
করোনার প্রকোপে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। অক্সিজেন–সংকট তৈরি হয়েছে ভয়াবহভাবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংকটে অনেক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে রেমডিসিভির সংগ্রহ করছে ভারত।
উদ্ভূত এই পরিস্থিতি ভারতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই ভারত সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে ওষুধসহ এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে।
ভারতে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথম দফায় ১০ হাজার ইনজেক্টেবল অ্যান্টি-ভাইরাল, ওরাল অ্যান্টি-ভাইরাল, ৩০ হাজার পিপিই কিটস এবং কয়েক হাজার জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-সি পাঠানো হবে।
সাননিউজ/এএসএম