ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে দিশেহারা বিশ্ব। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছে তার অন্তত ১০ থেকে ১৫ গুণ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য দিলে বিশ্বের খ্যাতনামা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা বলছে, বিশ্বে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আন্তত সাড়ে ১১ কোটি। অথচ সাধারণ মানুষ জানছে মাত্র ২৩ লাখের কথা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই গবেষণাপত্র গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মূল্যায়িত হয়নি এই গবেষণা পত্রটি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, অনেকের দেহে করোনা সংক্রমিত হলেও কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। অর্থাৎ তিনি অসুস্থ হননি। ফলে তার চিকিৎসা নেয়ারও প্রয়োজন পড়েনি। আর পরীক্ষা না করায় তারা আক্রান্ত রোগীর হিসাবের মধ্যেও আসেননি।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা কাউন্টির ৩ হাজার ৩৩০ ব্যক্তির ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এ গবেষকরা বলছেন, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা জানা সংখ্যার চেয়ে ৫০ থেকে ৮৫ গুণ বেশি।
তা হলে আক্রান্তরা অসুস্থ নন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মানবদেহের প্রাকৃতিক সুরক্ষাব্যবস্থা অ্যান্টিবডির কথা বলছেন এ গবেষকরা, যা পরীক্ষা করেই তারা বিপুলসংখ্যকের আক্রান্ত হওয়ার দাবি করছেন।
গবেষকরা বলছে, রোগপ্রতিরোধের ব্যবস্থা মানুষের দেহে সবসময়ই কার্যকর থাকে। মানুষের দেহে যখন বাইরে থেকে অচেনা কিছু প্রবেশ করে, তখন শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সন্দেহ হলে তা ঠেকাতে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। সেই অ্যান্টিবডি ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়।
যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সে সুস্থ হয়ে যায়, আর যার কম তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।