আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। বিয়ের সব কিছু ঠিক, শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। এর মধ্যেই খবর এলো পাত্র করোনায় আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন হাসপাতালেও।
কিন্তু তাতে কী! বিয়ের কাজ তো আর থেমে থাকতে পারে না। শেষ পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত দিনেই বিয়ে হলো। তবে সেটা হাসপাতালে। পাত্র করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পিপিই পরে হাসপাতালেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হলো পাত্রীর।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার আলাপ্পুঝা মেডিকেল কলেজে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত পাত্রকে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুয়িপমেন্ট (পিপিই) কিট পরেই বিয়ে করেন পাত্রী।
ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেরালা রাজ্যের আলাপ্পুঝার কাইনাকারি নামক এলাকার বাসিন্দা ওই পাত্রের নাম শরথ মন (২৮)। আর পাত্রী থেক্কানারইয়াদের আভিরামি (২০)।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দু’জনের বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হন শরথ ও তার মা। চিকিৎসার জন্য তাদের আলাপ্পুঝার মেডিকেল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এরপরই দুই পক্ষের মাথায় হাত পড়ে। কারণ বিয়ের দিন পাত্র বিয়ের আসরের বদলে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। সেক্ষেত্রে বিয়ের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
তবে দুই পক্ষই ঠিক করে বিয়ে হবে। সেই অনুযায়ী জেলা প্রশাসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিয়ের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় উভয় পরিবার। দুইপক্ষ থেকেই দেওয়া হয় অনুমতি। শেষপর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ রোববারই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে পাত্রী আভিরামিকে বিয়ে করেন শরথ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই দু’জনের বিয়ের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শাড়ি-গয়নায় সেজে নয়, পিপিই কিট পরে বিয়ে করতে এসেছেন আভিরামি। অন্যদিকে, শরথের পরণে নীল জামা এবং প্যান্ট।
হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং পরিবারের অল্প কয়েকজন সদস্যদের উপস্থিতিতেই দু’জনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সাননিউজ/এএসএম