আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০১৯সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাওয়া তিন নভোচারী যে পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছিলেন, ফিরে এসে সেই পৃথিবীর আমূল পরিবর্তন দেখতে পান তারা।
ওই তিন নভোচারী হলেন, রুশ নভোচারী ওলেগ স্ক্রাইপোচকা এবং মার্কিন নভোচারী জেসিকা মায়ার এবং মার্কিন নভোচারী অ্যান্ড্রু মর্গান।
ওলেগ ও জেসিকা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এবং মর্গান জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যান। ওলেগ ও জেসিকা সেখানে ছিলেন ২০৫ দিন। আর মর্গান মহাকাশে কাটান ২৭২ দিন।
মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে এরা তিনজন পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পৃথিবীতে ফিরে আসা এই মহাকাশচারীদের স্বাভাবিক রুটিনেও পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
মহাকাশে থাকা অবস্থায় এক ভিডিও কলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন জেসিকা মায়ার। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এরকম কিছু একটা যে ঘটছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সেটা একটা পরাবাস্তব ব্যাপার বলে মনে হয়। কারণ এখান থেকে পৃথিবীটা আগের মতোই অপূর্ব লাগে। কাজেই আমরা পৃথিবী ছেড়ে আসার পর সেখানে যে এতো পরিবর্তন ঘটে গেছে সেটা বিশ্বাস করা কঠিন।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এই অবতরণের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে দেখা যায় মাস্ক পরা রেসকিউ টিমের সদস্যরা এই নভোচারীদের কাছে যাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে অনেকগুলো টুইটে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে শুক্রবার এই তিন নভোচারী পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
যে সয়ুজ মহাকাশযানে তারা ফিরে আসছিলেন, সেটি তিনটি মডিউলে বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।।কাজাখাস্তানে তাদের ক্যাপসুলগুলো সফলভাবে অবতরণ করে।
এছাড়াও ফিরে আসা নভোচারীরা যেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার না হন, সেজন্যে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। যে সার্চ পার্টির সদস্যদের পাঠানো হয়েছিল নভোচারীদের সন্ধানে, তাদের করোনাভাইরাসের টেস্ট করা হয় তার আগে। তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনেও রাখা হয় দীর্ঘ সময়।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সার্চ টিমের সদস্যরা নভোচারীদের উদ্ধার করে সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দরে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের বিমানে করে যার যার দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সান নিউজ/সালি