আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়া উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১২০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি রাবারের নৌকায় করে ওই অভিবাসীরা ইউরোপে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা নিশ্চিত করেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
একটি উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিতে প্রায় ১৩০ জন আরোহী ছিলেন।
এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও জীবিত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে নৌকার আরোহীরা সবাই প্রাণ হারিয়েছে।
তল্লাশি এবং উদ্ধার সংস্থার সমন্বয়কারী লুইসা আলবেরা বলেন, কয়েক ঘণ্টার তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের পর আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হলো। বুধবার সকালে ওই অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাটি যাত্রা শুরু করেছিল বলে জানানো হয়।
তিনি বলেন, আমরা খুব ব্যথিত। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবার এবং স্বজনদের করা ভেবে খুব দুঃখ হচ্ছে। নৌকায় থাকা লোকজনকে আরও আগে উদ্ধারের চেষ্টা করলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে এগিয়ে না আসার কারণেই এই অসহায় মানুষগুলো হয়তো সাগরে ডুবেই মারা গেল।
একটি সংস্থা বলছে, লিবিয়ার কোস্ট গার্ড অভিবাসীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি এবং উদ্ধারকারী দলকেও কোনো ধরনের সহায়তা করেনি। তারা সারারাত ভরে শতাধিক অভিবাসীকে এভাবে সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে বাধ্য করেছে। যার পরিণতিতে এসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনা ছাড়াই চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে ডুবে ৩৫০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে একটি শিশুসহ কমপক্ষে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আফ্রিকান অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ইউরোপের দিকে যাত্রা করলে এটি তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে যায়।
সাননিউজ/এএসএম