আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিকে ফোন করেন। মোদি অনুরোধ জানান, প্রতীকী জমায়েতের ব্যাপারে।
প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন জুনা আখড়ার আচার্য; অন্য আখড়ার প্রধানরাও এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরি জানিয়ে দেন, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সময়ের আগেই বন্ধ হবে জুনা আখড়ার কুম্ভ স্নান।
তিনি আরো বলেন, ভারতের মানুষ এবং তাদের জীবন আমাদের কাছে সবার আগে। করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে জুনা আখড়ার জন্য কুম্ভ মেলা শেষ হচ্ছে।
জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরি এক টুইট বার্তায় লেখেন, ভারতের মানুষ এবং তাদের বেঁচে থাকা আমাদের অগ্রাধিকার। করোনাভাইরাস উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমরা কুম্ভ মেলার সমস্ত দেবদেবীদের যথাযথভাবে বিসর্জন করছি। এটি জুনা আখড়ার পক্ষ থেকে কুম্ভের আনুষ্ঠানিক নিমজ্জন।
এর আগে কুম্ভমেলায় ৩০ জন সাধু করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে গত শনিবার জুনা আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি করোনা আক্রান্ত সাধুদের শরীরের খোঁজ নেন।
এ ছাড়া করোনা মহামারি পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে প্রতীকী ধর্মীয় জমায়েতের অনুরোধ করেন মোদি। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুইট করে সেই কথা জানান।
টুইটে তিনি লেখেন, সাধুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে আজ স্বামী অদ্ধেশ্বানন্দ গিরিজিকে ফোন করেছিলাম। সাধুরা প্রশাসনকে সব রকম সাহায্য করছেন। এ জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
পনে জুনা আখড়ার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানান তাদের আচার্য। প্রতিটি আখড়ায় প্রশাসন মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে। সাধুদের ক্রমা আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে।
জুনা আখড়ার আগে নিরঞ্জন আখড়ার পক্ষ থেকেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই কুম্ভ মেলার অনুষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার আগে ঘোষণা করেছিল কুম্ভমেলা নিয়ম অনুসারে চলবে এবং ৩০ এপ্রিল সমাপ্ত হবে।
সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়, কুম্ভ মেলায় করোনা বিধি সঠিকভাবে মেনে চলা হবে, ফলে সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বেশ কয়েকজন সাধু সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৪ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ জন।
সূত্র : গালফ নিউজ
সাননিউজ/এএসএম