আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৬ মে দেশটিতে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) সিরিয়ার স্পিকার হামৌদা সাববাগ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এটা হবে সিরিয়ায় আয়োজিত দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর মধ্য দিয়ে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের ক্ষমতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিবিসি ও আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিবন্ধন শুরু হবে। আগামী ২০ মে বিদেশে অবস্থানরত সিরিয়ার নাগরিকেরা দূতাবাসে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। আর ২৬ মে সিরিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিজয়ী ব্যক্তি পরবর্তী সাত বছরের জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
এবারের নির্বাচনে সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ আবারও প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ভোটে দাঁড়ালে সহজেই জয় পাবেন আসাদ। কেননা পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন না থাকলেও গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় আসাদের শক্ত কোনও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অনেক দেশের মতো সিরিয়াতেও ২০১১ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। গণতন্ত্রের দাবিতে শুরুতে দেশটিতে ছোটখাটো বিক্ষোভ হয়। দ্রুতই এ বিক্ষোভ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে শুরু থেকেই নৃশংস পথ বেছে নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। এতে দীর্ঘমেয়াদী গৃহযুদ্ধের চক্করে পড়ে যায় দেশটি।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। একসময়ের সমৃদ্ধ সিরিয়া এখন রীতিমতো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশি-বিদেশি নানা পক্ষের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দেশটি। তবে যুদ্ধের দামামায় সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে সিরিয়ার জনগণ। এক দশকের গৃহযুদ্ধে দেশটিতে প্রায় চার লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। উদ্বাস্তু হয়েছে সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ।
সান নিউজ/বিএস