ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে এক লাখ ৫১ হাজার ৯৬৮ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৭ জনের।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজারেরও বেশি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফুরেছেন ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৯ জন। অতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে ৫৬ হাজার ২২৯ জন। তাদের বাচার সম্ভাবনা খুবি কম বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছে এক হাজার ২৯০ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৫১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যু সংখ্যার ৪ হাজার ৬৩২ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৬৯২ জন। চীনে হাঠাৎ করে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটির সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহল থেকে। অনেকেই বলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করছে চীন। করোনাভাইরাস নিয়ে দেশটি রাজনীতি করছে। কেউ কেউ বলছে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটতেই এমন করছে দেশটি।
গত কয়েকদিনের মতো গত ২৪ ঘণ্টায় সবচে বেশি প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ হাজার ৩২৭ জন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৯৪৪ জনে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজারেরও বেশি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯০ হাজার ছাড়ালো। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৪৭ হাজার ৭০৭ জন।
ফ্রান্সে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৭৬১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মারা গেছে সাড়ে ১৮ হাজার ৬৬১ জন। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দেড় লাখ।
যুক্তরাজ্যে নতুন করে মারা গেছেন ৮৪৭ জন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৫৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৭৪৫ জনে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি।
স্পেনেও কমেছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে নতুন করে মারা গেছে ১৬৩ জন। মোট মারা গেছে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজারেও বেশি।
করোনায় বেলজিয়ামে প্রাণহানি হয়েছে ৩৬০ জনের। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৩ জনে। আক্রান্ত ৩৬ হাজারেরও বেশি।